একটা সন্তানের কাছে সবচেয়ে নিরাপদের আশ্রয় হলো তার মা-বাবা। কিন্তু এই নিরাপদ জায়গাটায় অনেকের ক্ষেত্রে কাল হয়ে দাড়ায়। Faysal Azad Himel
একটা সন্তানের কাছে সবচেয়ে নিরাপদের আশ্রয় হলো তার মা-বাবা। কিন্তু এই নিরাপদ জায়গাটায় অনেকের ক্ষেত্রে কাল হয়ে দাড়ায়।
গবেষনায় উঠে এসেছে, সন্তানের ৬ মাস বয়স থেকেই তার ওপর বাবা মায়ের ঝগড়ার প্রভাব পড়তে শুরু করে।শুধু তাই নয়, সন্তানের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব গুলো আরো তিব্র হয়ে উঠে।
অন্যদিকে সাইকোলজিস্টরা বলে, বাবা বা মা মারা যাওয়া বা বাবা মায়ের ডিভোর্স হয়ে যাওয়া সন্তানদের চেয়ে বাবা মা একসাথে থেকে প্রতিদিনের কলহ সন্তানকে ধীরে ধীরে ডিপ্রেশন ডিসঅর্ডার নামক ভয়ংকর রোগের দিকে ঠেলে দেয়।
একটা সন্তান ছোট বেলা থেকে সম্পর্কের মানেটা বোঝে তার বাবা মা থেকে, তাদের এক মাত্র কাপল আইডল হয় তাদের বাবা মা । কিন্তু যেসব সন্তানগুলো ছোটবেলা থেকে বাবা মায়ের ঝগড়া,কলহ দেখে বড় হয় , তারা খুব সহজে কারো সাথে সম্পর্কে যেতে চায় না.. .. তারা ভয় পায়,, আঘাত পাবার ভয়!! তারা ভরসার হাত খুজে কিন্তু নিজের হাতটা কারো হাতে তুলে দিতে পারে না এক অজানা আতংকে, যদি তার জীবনটা আবার সেই নরক যন্ত্রনায় কাটাতে হয়!!
ছোটবেলা থেকেই তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে শুরু করে, তেমনি এই ধরনের পরিস্থিতি তাদের বাবা মায়ের সাথে সম্পর্কেও প্রভাব ফেলে, বড় হতে হতে তারা হয়ে যায় বদমেজাজি, ক্ষীপ্র।
সব সংসারেই কমবেশি কথা কাটাকাটি হয়ে থাকে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু যখন বাবা মা সন্তানের সামনে ঝগড়া করতে থাকে,একজন অন্যজনকে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে থাকে, গায়ে হাত তুলতে থাকে, সেটা মোটেও স্বাভাবিক না, তারা ধীরে ধীরে তাদের সন্তানকে ডিপ্রেশনের দিকে ঠেলে দেয়, কখনো সন্তানরা নিজেরা নিজেদের সুইসাইডের দিকে ঠেলে দেয়।
সাইকোলজিস্টরা বলে সন্তান বুঝতে শুরু করার পর বাবা বা মা যাতে কেউ উঁচু স্বরে কথা না বলে সন্তানের সামনে। সেটা বাড়ন্ত শিশুর মস্তিষ্কে বড় ধরনের আঘাতের সৃষ্টি করে৷ সেই জায়গায় কিছু পরিবার তাদের সন্তানকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়, মৃত্যুর দিকে না ঠেলে দিলে ও তাদের মানসিক রোগী খুব সহজেই বানিয়ে ফেলে।
বাবা মা একটা সন্তানের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু অনেক সময় তারা নিজেরাই অজান্তে সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে বসে তাদের নিজেদের সন্তানের।
Faysal Azad Himel.
Comments
Post a Comment